কক্সবাজার প্রতিনিধি ::::
পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উলফাত জাহান জিনিয়া, মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দন্ড বিধি ১৬১, ৬২, ৬৫, ৬৬, ৪০৬, ৪২০, ১০৯ সহ দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের হয়।
মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যে অভিযোগে দিদারুল ইসলাম নামে একব্যক্তি বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। দিদারুল ইসলাম মগনামা বোডিং পাড়া এলাকার অলি আহমদের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানাযায়, মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগের সংবাদে দিদারুল ইসলাম নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে গত ১৩ জুলাই এবং বিকাল ৩ টায় স্বাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়ে ১ম স্থান অধিকার করেন। তার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসাইন দিদারকে অফিসে ডেকে ৫০ হাজার টাকার ঘুষ দাবী করেন। দিদার প্রধান শিক্ষকের কথা মতো ৫০ হাজারের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষককে প্রদান করেন। উক্ত ঘুষ দাবীতে কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা অফিসারের পূর্ণ সমর্তন ছিল এবং তারাও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাদীকে চাপ দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। এদিকে বাদী ৩০ হাজার টাকা পূরণে অপারগতা প্রকাশ করায় দিদারকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।
এজাহারে আরো উল্লেখ রয়েছে, উক্ত দপ্তরী পদে প্রতিদ্বন্ধী রবিউল আলম নামে এক অশিক্ষিত জাল সনদদারী ব্যক্তিকে উক্ত অফিস কক্ষে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরী (৪র্থ শ্রেণি) পদের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেন। এমন ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সদস্য উক্ত নিয়োগের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই ঘটনাটি প্রধান শিক্ষকের সুপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আকাতর হোসাইন বিষয়টি অস্বীকার করেন। এমন অনিয়ম দুর্নীতি রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগি।
পাঠকের মতামত: